চকরিয়া প্রতিনিধি ::
চকরিয়ায় ঈদের আগে কয়েকদিনের টানা বর্ষণ এবং মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ম্লান করে দেয় ঈদ আনন্দ। কিছু এলাকায় বানের পানি নেমে গেলেও সড়কে, উঠানে এমনকি বাড়ির ভেতরে জমে আছে কাদামাটি। এতে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে।
চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খিলছাদক গ্রামটি মাতামুহুরী নদী লাগোয়া। ওই গ্রামের বাসিন্দা আমেনা বেগম জানালেন, বাড়ির উঠানে এখনো জমে আছে দুই-তিন ফুট পানি। একই এলাকার কবির আহমদের স্ত্রী জনুয়ারা বেগম বলেন, ‘বন্যায় খুব কষ্ট পেয়েছি। ছেলে-সন্তানদের নিয়ে কোনো মতে দিন কাটিয়েছি। বানের পানি নেমে গেলেও ঘরে জমে যায় কয়েক ফুট কাদামাটি।’
পৌরসভার আবদুল বারী পাড়ার রিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী রোকসানা বেগম বলেন, ‘প্রতিবছর ঈদের সময় মার্কেটে কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম। কিন্তু ভাগ্য আমাদের এখন কাদামাটি অপসারণে ব্যস্ত রেখেছে। আমরা কি যে কষ্টে আছি তা কাউকে বোঝাতে পারব না।’
লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের রুস্তম আলী চৌধুরী পাড়ার আবুল কালাম বলেন, ‘গ্রাম থেকে বানের পানি পুরোপুরি নেমে গেলেও দুর্ভোগ রয়ে গেছে। ঘরের ভেতর জমে থাকা পলি অপসারণেই সময় কাটছে সবার। এমনকি যোগাযোগের মাটির সড়কগুলোও কয়েক ফুট কাদার নিচে চাপা পড়েছে। হাঁটু পরিমাণ কাদা মাড়িয়েই চলতে হচ্ছে। দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।’
কাকারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শওকত ওসমান বলেন, ‘বানের পানি নেমে গেলেও ভয়াবহ দুর্ভোগের শিকার মাটির বাঁধ বা সড়কের ওপর দিয়ে চলাচলকারী মানুষগুলো। এতে আরো বেশি কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে সড়ক। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিন যাচ্ছে।’
মাতামুহুরী নদী লাগোয়া বরইতলীর পহরচাঁদা বিবিরখিলের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এখানে ময়লাযুক্ত কাদামাটিতে সয়লাব পুরো গ্রাম। আর সেই কাদামাটিতে কোমলমতি শিশুরা খেলা করছে। এতে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পাঠকের মতামত: